রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০১:২১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ফতুল্লার পাগলা বাজার প্রধান সড়ক ও শাখা সড়কে যানবাহন থেকে চাঁদা আদায় এখন আর গোপন কিছু নয়।প্রকাশ্যে বিভিন্ন গাড়ী থেকে আদায় করা হচ্ছে চাঁদা।পাগলা অঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল এই সড়কে দৈনিক লক্ষাধিক টাকা চাঁদাবাজি করছে একটি চক্র। অতি সম্প্রতি র্যাবের অভিযানে ছয়জন গ্রেফতার হলেও তারা মূলত বেতনভুক্ত কর্মচারী। পাগলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও বহুল বিতর্কিত সেক্রেটারি বাচ্চু গণহারে চাঁদাবাজির নেপথ্যে রয়েছেন। রয়েছে মাহাবুব ও জুয়াড়ী শফি। এলাকাবাসী জানায়, শিল্পাঞ্চল হিসেবে পাগলা অঞ্চলটির আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। রড, ইট, বালু, সিমেন্ট ও গার্মেন্ট ব্যবসার জন্য প্রসিদ্ধ ওই এলাকার জনগণ ও ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্যে অসহায়। বহিরাগত বড় আকারের ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসমূহ দ্রুত ও সহজে গন্তব্যে যেতে পাগলা- জালকুড়ি সংযোগ সড়কটি ব্যবহারে উদগ্রীব থাকে৷ আর সেই সুযোগটিই নিচ্ছে জাহাঙ্গীর- বাচ্চু গং৷ যানবাহন চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বড় ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানগুলো অর্থের বিনিময়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় ব্যস্ততম ওই সড়কে। এতে করে যানজট দীর্ঘদিন যাবতই এলাকাবাসীর নিত্যদিনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য, নষ্ট হচ্ছে বিপুল পরিমাণ কর্মঘণ্টা। একাধিক সূত্র জানায়, প্রতিটি ট্রাক থেকে একশো থেকে দেড়শো টাকা অবধি জোরপূর্বক আদায় করে থাকে চাঁদাবাজ চক্রটি৷ তাদের নিয়োজিত লাইনম্যানেরা রাস্তার মাঝে গাড়ি থামিয়ে প্রকাশ্যে ওই অর্থ গ্রহণ করে মূলহোতাদের নিকট পৌঁছে দেয়। যানজট নিরসনের নামে ওই ব্যাপক চাঁদাবাজি চললেও বহিরাগত ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানগুলোকেই যানজটের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করছে স্থানীয় সচেতন মহল। কোনো চালক টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে গাড়িসহ দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা হয় রাস্তার মাঝেই। এতে করে যানজট তো বাড়ছেই, প্রায়ই ঘটছে মারামারি- হাতাহাতির মতো ঘটনা। তবে জাহাঙ্গীর- বাচ্চু গংয়ের চাঁদাবাজি স্রেফ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানেই সীমাবদ্ধ নয়। পাগলার প্রধান সড়ক সংলগ্ন ফুটপাতের শতাধিক দোকান থেকে তারা দৈনিক গড়ে একশো টাকা করে চাঁদাবাজি করে। এমনকি যানজট নিরসনের অজুহাতে বিভিন্ন মিল- কারখানা থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগও এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের। প্রকাশ্যে সংগঠিত এই অপকর্মের বিরুদ্ধে টুঁ শব্দটি উচ্চারণের সাহস পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা৷। স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, চাঁদা উত্তোলনে বেতনভুক্ত কর্মচারীদের গ্রেফতার করা সুদূরপ্রসারী সমাধান নয়। বরং এই বিস্তৃত চাঁদাবাজি নির্মূলে অবশ্যই মূলহোতাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসলেই চাদাঁ আদায় বন্ধ হবে।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫ ১ রবিউল-আউয়াল, ১৪৪৭ | |
ওয়াক্ত | সময় |
সুবহে সাদিক | ভোর ৪:১৯ |
সূর্যোদয় | ভোর ৫:৩৭ |
যোহর | দুপুর ১২:০১ |
আছর | বিকাল ৩:২৮ |
মাগরিব | সন্ধ্যা ৬:২৪ |
এশা | রাত ৭:৪২ |
আপনার মতামত কমেন্টস করুন